আজ ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১, ২০২৩, ৮:১১ পূর্বাহ্ন / ২৩৭
আজ ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস

এম. জুলফিকার আলী ভূট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

১ নভেম্বর যুবদের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের অনেক গুলো জাতীয় দিবস পালন করা হয় এর মধ্যে অন্যতম একটি দিবস হল জাতীয় যুব দিবস। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে জাতীয় যুব দিবসের বিভিন্ন রকম কর্মসূচী পালন করা হয়। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে র‍্যালি, যুব পুরস্কার প্রদান, যুব ঋণ বিতরণ, কীটবক্স বিতরণ, সনদপত্র বিতরণ, রক্তদান কর্মসূচী ও আলোচনা সভা এ ছাড়া আরও অনেক কর্মসূচী পালন করা হয়।

যে সকল যুবকেরা সমাজের বিভিন্ন রকম কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে। তাদেরকে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর তাদের মধ্যে বেশির ভাগ যুবক আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। প্রতি বছর ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়।

প্রতি বছর ১ নভেম্বর বাংলাদেশে জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়। এ দিবসটি উপলক্ষে দেশ ব্যাপী বিভিন্ন রকম কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এবারের জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হল “স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ”। প্রতি বছর এ রকম প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে যুব দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

প্রতি বছর জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রকম কাজে আত্মনিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবায় নিয়োজিত যুবকদের জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঠিক তেমন কয়েকজন যুবককে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় যুব দিবস কে কেন্দ্র করে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন রকম কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।

জাতীয় যুব দিবস আজ। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘জেগেছে যুব, গড়বে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। যৌবন মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। প্রাণ চাঞ্চল্যে ভরপুর যুব সমাজ দেশ মাতৃকার মূল চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুব সমাজ। জ্ঞানমুখী, প্রশিক্ষিত ও আদর্শ যুব সমাজ জাতির মেরুদণ্ড। তাদের অবস্থান হবে, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে হলে যুবকদের দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্য ও মমত্ববোধ সব সময় জাগ্রত থাকবে।

আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত যুব সমাজের কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল, জ্ঞান ভিত্তিক এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবরাই মূল চালিকা শক্তি।

তাই, যুব সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।’ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী’র মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জেলায় জেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে তরুণদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। যুব সমাজের মেধা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুব সমাজ তাদের প্রতিভা ও প্রাণ শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যে সব প্রশিক্ষণ যুবদের জন্য বাস্তবায়ন করে থাকে।
১. গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স-আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৩ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০.০০ (একশত) টাকা ভর্তি ফি এবং জামানত হিসেবে ১০০.০০ (একশত) টাকা (ফেরৎ যোগ্য) জমা দিতে হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ (চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করে থাকে। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।
২. পোশাক তৈরী প্রশিক্ষণ কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৩ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়।
৩. ব্লক, বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিং প্রশিক্ষণ কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৪ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়।
৪. মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- (একশত) টাকা প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়।
৫. প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজািইন কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ এবং কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।
৬. কম্পিউটার বেসিক এন্ড আইসিটি এপ্লিকেশন কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। কম্পিউটার বেসিক কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ।
৭. ইলেকট্রনিক্স প্রশিক্ষণ কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/-টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রনিক্স কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ।
৮. ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজওয়্যারিং কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/-টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রিক্যাল এ-হাউজ ওয়্যারিং কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।
৯. রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং কোর্স-
অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/-টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচী

বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কিত ৩ মাস মেয়াদী আবাসিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাই এ সমাপ্ত প্রকল্প ও রাজস্ব কর্মসূচীর উদ্দেশ্য। যুবদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রকল্পের সম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও জ্ঞানদান করা হয়। প্রতি ব্যাচে ৬০ জন বেকার যুবক ও যুব মহিলাকে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দেশের ৬৪ জেলায় একটি করে আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যমান ৬৪ টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩১ টি ইতোমধ্যে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৩ টি কেন্দ্র ২৬ টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প এবং ১৮ টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়-৮ টি কেন্দ্র) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে।

আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহ সর্বনিমণ ১.৫০ একর হতে ৭.০০ একর ভূমির উপর জেলা সদরে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অফিস কাম একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসস্থান, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, ডাক কাম পোল্ট্রি শেড, কাউ শেড, মৎস্য হ্যাচারী, পুকুর, নার্সারি ইউনিট এবং খেলার মাঠ রয়েছে। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সমূহ দেশে মৎস্য ও পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচী-
এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪ টি জেলা ও ৪৯৮ টি উপজেলায় (১০ টি মেট্রোপলিটন ইউনিট থানাসহ) কার্যক্রম রয়েছে। এ কর্মসূচীর আওতায় জেলা সদরে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস হতে ৬ মাস পর্যন্ত। এ ছাড়া স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৪৯৬ টি উপজেলায় স্বল্প মেয়াদী অপ্রাতিষ্ঠানিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশ ব্যাপী পরিচালিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও আয় সঞ্চারণমূলক কর্মকান্ড-বেকার সমস্যা সমাধান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

এ কর্মসূচীর আওতায় প্রশিক্ষিত বেকার যুবদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক/অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একক (ব্যক্তিকে) ঋণ প্রদান করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একজন প্রশিক্ষিত যুবক/যুব মহিলাকে ৬০,০০০/-থেকে ১,০০,০০০/-টাকা পর্যন্ত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৪০,০০০/-থেকে ৬০,০০০/-টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়।

জেলা ও উপজেলায় দুটি কমিটির মাধ্যমে যথাক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির জন্য একজন ঋণ গ্রহীতাকে ১ জন জামিনদার নিশ্চিত করতে হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্তুতি সময় অতিক্রম করার পর বিভিন্ন ট্রেডের জন্য নির্ধারিত মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। মঞ্জুরকৃত ঋণ পাওনার উপর ৫% (ক্রমহ্রাসমান) হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ২.৫% দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যাঁরা সময় মত মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ কর্মসূচীর ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৫%।

লেখক-সম্পাদক, অগ্রণী যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।