চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের এমডি’র একক স্বেচ্ছাচারিতা, দখল ও অর্থ আত্মসাৎ এর প্রতিবাদ


প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০২৪, ৭:০২ অপরাহ্ন / ১৯
চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের এমডি’র একক স্বেচ্ছাচারিতা, দখল ও অর্থ আত্মসাৎ এর প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার-

চাটখিলে সনামধন্য বেসরকারি চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের এম ডি মোঃ সোহাগের বিরুদ্ধে একক স্বেচ্ছাচারিতা, পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ কুক্ষিগত, দখল, অর্থ আত্মসাৎ এবং জেল জুলুম প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন বলে, সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাটখিল স্কয়ার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুল্লাহ মানিক।

নোয়াখালী জেলার চাটখিল প্রেস ক্লাবে ৪ মে (শনিবার) বিকেল ৩ টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল্লাহ মানিক। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ও অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে ১০ আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে চাটখিল স্কয়ার হাসপাতাল।

২০২১ সালে এজেন্ডা মোতাবেক মোঃ সোহাগকে পরিচালকদের সিরিয়ালে ১৭ নাম্বার থেকে এমডি করা হয়। কিন্তু সোহাগ এমডি হওয়ার পর শেয়ার হোল্ডারদের সাথে দূরত্ব তৈরি, বিনিয়োগের টাকা পরিশোধ না করা, হুমকি দেওয়া, গ্রুপিং করা, হিসাব নিকাশ বুজিয়ে না দেওয়া, লস দেখিয়ে লভ্যাংশের টাকা পরিশোধ না করা, অশোভনীয় আচরন, সভা, মাসিক মিটিং না করা, ডাক্তারদেরকে বেশি বেশি টেস্ট দিতে বাধ্য করা, পরিচালকদের বিনিয়োগ কৃত গাড়ি নিজের নামে অন্তর্ভুক্ত করা, কোম্পানির একাউন্টে টাকা লেনদেন না করে ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেন করা ও একক সিদ্ধান্ত সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ করেন।

সাইফুল্লাহ মানিক আরও অভিযোগ করে বলেন, উক্ত বিষয় আমি চাটখিল সোনাইমুড়ী আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির ও চাটখিল থানা অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হককে অবহিত করি। এবং আদালতে মামলা করা হয়েছে। আমি সাংবাদিক বৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি সমস্যা সমাধানের জোর দাবি করছি।

স্কয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি মিজানুর রহমান জানান, আমি হাসপাতলের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও সোহাগ সকল কিছু একক ভাবে করেন। প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, পরিচালকদের মধ্যে ১৭ তম অবস্থান থেকে এনে তাকে এমডি করা হয়। তিনি একজন প্রবাসী ছিলেন। প্রবাস থেকে ফিরে স্কয়ার হাসপাতালে সাথে যুক্ত হয়ে এখন একক আধিপত্য বিস্তার করছেন। অন্যান্য পরিচালকদের সহযোগিতায় নিজের নামে ভূমি ক্রয় করে, একই ভূমিতে হাসপাতালের কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এখন নিজ ভবনে অন্যান্য পরিচালকদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বের করে দেওয়ার ও একক আধিপত্য বিস্তারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।