রাজাপুরের কামারখালীতে হরিনাম কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার ভক্তের আগমন


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৪, ১২:৫৫ অপরাহ্ন / ১৪৪
রাজাপুরের কামারখালীতে হরিনাম কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রায় ১০ হাজার ভক্তের আগমন

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধি-

ঝালকাঠি জেলাধীন রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের কামারখালী গ্রামের সাদিয়াল বাড়ী হরি মন্দিরে ২২, ২৩ ও ২৪ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখে তিন দিন ব্যাপী হরি কীর্তন ও মতুয়া মহা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী, লেবুখালি, বাকেরগঞ্জ, সুবিদখালী, কাঠালিয়া, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, কাউখালি, রাজাপুর, ঝালকাঠী ও বরিশালের সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং অন্যান্য ধর্মের প্রায় ১০ হাজারের অধিক মানুষের সমাগম হয়। অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপস্থিত হন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য অংশগ্রহনকারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মাহামুদ বাচ্চু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল তেওয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাপ্পী মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়িতা ও অপরাজিতা বাউল ছালমা প্রমুখ।

অত্র এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের সদস্যদের “চাওয়া” হলো এই গ্রামে চলা চলের জন্য তেমন কোন পাকা বা আধাপাকা রাস্তা নেই! বর্ষা মৌসুমে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয় স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সহ সকল পেশাজীবি মানুষের! রাস্তা না-থাকায় অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীকে মরতে হয় চিকিৎসা বিহীন অবস্থায়, অগ্নিকান্ডে আসতে পারেনা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্টদের নিকট মাত্র দেড় কিঃ মিঃ পাকা বা আধাপাকা সড়ক নির্মাণ ঐ এলাকার মানুষের প্রানের দাবি বরাবর-ই।

দ্বিতীয়ত দুর্গাপূজার জন্য নেই কোন স্থায়ী দুর্গা মন্দির। প্রতিবছর নির্ধারিত একটি জমিতে বাঁশ খুটি ও তাবু দিয়ে অস্থায়ী মন্দির তৈরী করে পুজা উদযাপন করে থাকেন, সে সব অনুষ্ঠানেও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এবিষয়েও জেলা উপজেলার সংশ্লিষ্টদের সুনজরসহ সহানুভূতি কামনা করেন এলাকাবাসী।